ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, লাল চিহ্নিত এলাকা সুনির্দিষ্ট করা হলেই ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই লকডাউন করা হবে। এখন যে ২৮টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে সেটা বৃহত। তৃণমূল থেকে কমিটি কাজ করছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার পরপরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোর সভা কক্ষে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা লাল চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করবো। তবে বর্তমানে যে ২৮টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে তা বৃহত এলাকা। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট করে দিলেই ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, একটি ওয়ার্ড বা এলাকা অনেক বৃহত। জনগণের সুবিধার কথা ভেবে আমরা শুধু আক্রান্ত এলাকাকে বা সংক্রমিত এলাকাটি লকডাউন করবো। সেই সঙ্গে সেখানকার গরিব মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে হবে, আক্রান্তের সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। এরপরও আমরা বলতে পারি বুধবার (১৭ জুন) আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়া হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা লকডাউন করবো।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন আছে আসা করছি দু-এক দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। আমরা যে এলাকা লকডাউন করবো তা ১৪ দিন বা ২১ দিন পর খুলে দেওয়ার পর যেন এলাকাটি সবুজ এলাকায় পরিণত হয়। লকডাউন করার আগে এলাকাটিতে মাইকিং করা হবে। সে এলাকার সামাজিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসবো।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের সমস্যা এখন বিশ্বব্যাপী। আপনারা একটু কষ্ট করুন, কষ্ট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, দেখবেন আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। কষ্ট না করলে নিজেও নিরাপদ না আবার অন্যরাও আক্রান্ত হবে।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (ডিএমপি) প্রতিনিধি, ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।