জাতীয় সংসদের ইতোমধ্যে ১৫ জন মন্ত্রী এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই কোনো সিনটম না থাকায় বাজেট অধিবেশনে যোগও দিয়েছিলেন কেউ কেউ। ফলে ঝুকি বেড়েছে সংসদ সচিবালয়ের। প্রতিদিনই একের পর এক এমপি-মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত হবেন এমন ১৭০ জন মন্ত্রী-এমপিকে করোনা পরীক্ষার জন্য চিঠি দিয়েছে জাতীয় সংসদ। রবিবার (২১ জুন) সংসদের চিফ হইপের দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সংসদের বাজেট অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আগামী ২৩ জুন থেকে আবার শুরু হচ্ছে। ১৭০ জন নির্ধারিত এমপি রোস্টার ভিত্তিতে এই অধিবেশনে যোগ দেবেন। এর আগে সংসদের কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এমপিদের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
সংসদের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংসদ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা করোনা টেস্ট করেছেন তাদের মধ্যে ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত। এ ছাড়া সেখানে কর্মরত ৮২ আনসারসহ তাদের সঙ্গে একত্রে মেসে থাকা দেড় শতাধিক নিরাপত্তা রক্ষী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী জানান, এমপিদের পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে অধিবেশনের বাকি দিনগুলো যাতে সংঙ্কামুক্ত থাকা যায় সে জন্য অধিবেশনের আগামী দিন গুলোতে অংশ নেবেন এমন ১৭০ এমপিকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন গতশনিবার সংসদের স্বাস্থ্য বিভাগে নমুনা দিয়েছেন। বাকিরা কয়েকজন গতকাল নমুনা দেন। তাদের দ্রুত টেস্ট রিপোর্ট দিতে বলঅ হয়েছে। যদি কারো করোনা ধরা পড়ে তাকে না আসার নির্দেশনা থাকবে। আমার সবার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই এটি করছি। কারণ, সংসদে ইতোমধ্যে কোন সিনটম ছাড়াই অনেকের করোনা ধরা পড়েছে। আমরা চাই, এটি আর ছড়িয়ে না পড়ুক।
যদিও এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, এমপিদের কোনো নির্দেশনা সেভাবে আমরা দিতে পারি না। তবে তারা কেউ যদি নিজ দায়িত্বে টেস্ট করাতে চান তাহলে ভাল হয়, তার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি তাদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে সংসদের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন গণসংযোগ শাখার পরিচালক ও উপসচিব মো. তারিক মাহমুদ, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ওয়ারেছ হোসেন, টিভি প্রডিউসার মাসুম বিল্লাহ, কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কর্মচারী নেতা আতর আলী প্রমুখ। যাদের অনেকেরই কোনো সিনটম ছিল না। বর্তমানে তারা হোম করেনটাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা পজিটিভ হওয়াদের অনেকেই স্পিকারের দফতরে অবাধে যাতায়াত করতেন। অধিবেশন চলাকালীন অনেকেরই সংসদ কক্ষে দায়িত্ব পালন করেছেন।