১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৭ সালের ১৬ই জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে গ্রেফতার একই সূত্রে গাঁথা। সে সময়ও দলের কিছু অনুপ্রবেশকারী নেত্রীর সাথে বেঈমানি করে। কিন্তু কর্মীরা কখনো বেঈমানি করেনি। সে কারণেই নেত্রীর মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তত্ত্বাবায়ক সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবসের আলোচনা সভায় কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হোসনে আরা বেগম এমপি ও মোস্তফা কামাল চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, মো. আবুল হোসেন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, সাগিরুজ্জামান শাকীক, একেএম আজম খান, অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, মো. নজরুল ইসলাম, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, রেজাউল করিম রেজা, এ্যাড. মোহাম্মদ জহির উদ্দিন লিমন, আব্দুস সালম বাবু, আলহাজ্ব মো. মাকসুদুল ইসলাম, আব্দুল হালিম খান প্রমুখ।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড, ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সরকারি মদদে গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৭ সালের ১৬ই জুলই নেত্রীকে গ্রেপ্তার ও অবরুদ্ধ করা একই সূত্রে গাঁথা। সে সময়ও দলের কিছু অনুপ্রবেশকারী নেত্রীর সাথে বেঈমানি করে। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেপথ্যে বিএনপি-জামাত জোটের সাথে একই সুরে যারা নেত্রীকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। তিনি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, ২০০৪ সালে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ১/১১ এ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপপ্রয়াস চালায়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতৃত্বে প্রবল প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে মুক্ত করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান চলমান কোভিড-১৯ করোন ভাইরাস মহামারিতে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া ও মোনাজাত করা হয় । দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর ইয়ামিনী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা এমদাদুল হক।