কিছুসংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে দু-তিনটি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণের আগে সরকার নির্ধারিত ১৬ হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাসের (নেগেটিভ) সনদ নিতে হবে।
রোববার (১৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে সরকার নির্ধারিত ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার সনদ নিতে হবে। আমি নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য বিদেশগামী ভাই-বোনদের অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের কিছুসংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে দু-তিনটি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আমরা চাই না।
মন্ত্রী বলেন, গতকাল ঢাকার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখলাম—ইতালি বিএনপির সাবেক সভাপতির দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্যে প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বিএনপি নেতা ইতালির গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি ১০ লাখ লোক আক্রান্ত, কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে রয়েছে। যারা ইতালি যাচ্ছে তাদের সবার কাছে নাকি ভুয়া রিপোর্ট আছে।
‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে ছোট করা, লাখ লাখ প্রবাসীকে অস্থিরতায় ফেলে দেয়া এমন অসত্য তথ্য দিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় সেখানকার প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ। বিএনপি নেতার বক্তব্যের ভিডিও ইতালির লেগা নর্দ দলের নেতা মাতেও সালভিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে ও বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী তা আবারও প্রমাণ হলো। বৈশ্বিক এই সঙ্কটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে বিএনপি নেতারা দেশবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত।
তিনি বলেন, মিথ্যাচারের ঢোলক বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই তাদের রাজনীতি? সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি দেশের বিরোধিতায় নেমেছে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এসব কারণেই দলটি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।