সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসানসহ চার কর্মকর্তাও দুদকে হাজির হয়েছেন।
তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই চারজন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন।
দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা পৃথক দুটি দাপ্তরিক চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে তলব করেন। তলবের চিঠিতে ১২ ও ১৩ আগস্ট তাঁকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
অন্য একটি চিঠিতে তলব করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসানসহ চার কর্মকর্তাকে। অন্যরা হলেন—উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম। তাঁদের আজ (১২ আগস্ট) দুদকের হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।
দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদীন চিঠিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিইসহ আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো ‘অতীব জরুরি’ তলবি নোটিশে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা তাঁর নোটিশে আবুল কালাম আজাদকে ১৩ আগস্ট তলব করেছেন। নোটিশে তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনার সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। সাহেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর (আবুল কালাম আজাদ) বক্তব্য গ্রহণ প্রয়োজন। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসানসহ চারজনকে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।