বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে এ নির্দেশ দেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
স্পিডবোট নিবন্ধনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন ছাড়া স্পিডবোট চলতে দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকার শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িসহ বিভিন্ন রুটে অসংখ্য স্পিডবোট ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পারপার করে। তারা খুবই বেপরোয়া। এদের নিবন্ধন ও নিয়মকানুনের মধ্যে আনতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সেবার মান আরও গতিশীল করতে জনবল নিয়োগে, বিশেষ করে সার্ভেয়ার নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত করার নির্দেশ দেন। তিনি নৌদুর্ঘটনা হ্রাসে নৌযানে ‘রিভার্সিবল গিয়ার’ সংযোজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য নৌশুমারী সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে শিগগিরই পাঠানো হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মোঃ জালালউদ্দিন, সরকারি শিপিং অফিসের শিপিং মাস্টার মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী এবং নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে (ভার্চুয়াল) বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম অনলাইনে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন।