জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৫ তম জন্মদিন আজ (১৩ সেপ্টেম্বর)। ১৯৫৫ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় তার জন্ম। ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করলে দুর্বিষহ দিন পার করেন দুই বোন। সক্রিয় রাজনীতির সামনের সারিতে কখনো না আসলেও শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গি-পাড়ায়। রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও জেল-জুলুমে অন্যান্য ভাই বোনদের মতোই পিতার সান্নিধ্য ছাড়া বেড়ে ওঠা শেখ রেহানার। যতোটা সময় পিতাকে পেয়েছেন থেকেছেন কাছাকাছি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান তিনি। সেখান থেকে ভারতে চলে যান দুই বোন। শেখ রেহানা পরে পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান। ১৫ আগস্টের কালরাতের পর থেকে দুই বোন হয়ে ওঠেন একে অন্যের পরিপূরক।
কখনও রাজনীতির সামনের সারিতে আসেননি। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সক্রিয় রাজনীতিবিদদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি অবস্থা চলাকালে শেখ হাসিনা গৃহবন্দী হন। ওই সময় শেখ রেহানা বড় বোনের পক্ষে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। লন্ডন থেকে তার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করেন। সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা।
সাবেক ছাত্রনেতা প্রশান্ত বড়ুয়া জানান, শেখ রেহানা সব সময় সাদামাটা জীবন যাপন করতেন এখনো করেন এবং বাসে চড়ে কর্মস্থলে যেতেন। তিনি আরও বলেন, এক ১১-এর সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে দলকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন এবং মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে।
জনহিতৈষী কাজে সব সময়ই ভূমিকা রেখেছেন শেখ রেহানা। ধানমণ্ডিতে তার নামে বরাদ্দ বাড়িটিও দিয়েছেন দেশের কাজে।
অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির পরপর দু’বারের এমপি। ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। আর ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক লন্ডনে ‘কন্ট্রোল রিস্কস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ‘গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস’ সম্পাদক।