বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,ভারতকে ইলিশ উপহার দেয়া হলো ফলস্বরূপ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে তারা ।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতে ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে প্রেরণ করার সাথেই সাথেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে এই সংবাদ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা তেলেসমাতি শুরু করে দেয়। বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। দেশে পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, এই সংকট কৃত্রিম।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সরকার প্রধান নিজেও ‘পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর কোনো সমস্যা নাই’ বলে জনগণের সাথে তামাশা করেছেন যা মানুষ ভুলে যায়নি। মূলত: ভোটারবিহীন সরকারের দুর্নীতি, টাকাপাচার, লুটপাটের মাধ্যমে পাহাড়সমান সম্পদ অর্জনের ফলশ্রুতিতে তারা দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি উদাসীন, জনগণ বাঁচলো কি মরলো সেটি তাদের বিবেচ্য নয়। অদ্ভুত এক আঁধার নেমে এসেছে এদের আমলে। সরকার এখনও পর্যন্ত কোনো প্রমাণই দিতে পারেনি যে, তারা জনকল্যাণে কোনো কাজ করেছে।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০/৪০ টাকায়। গত দু’দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০/৫৫ টাকা, আর আজকে পেঁয়াজের দর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা, তার ওপর এখন পেঁয়াজের এই অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধি বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। সরকার সমর্থিত দলের সিন্ডিকেটই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পৃষ্ঠপোষক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতেই পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি। দেশবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তি আজ একের পর এক কেড়ে চলেছে এই ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার।
রিজভী বলেন, বিএনপি পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমি অবিলম্বে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক করতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।