ক্ষমতায় আসতে অলি গলি খুঁজব কেন? বিএনপি তো অবৈধ সরকারের পতনের জন্য প্রশস্ত রাজপথেই আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবদেরকেই অলি গলির পন্থা অবলম্বন করতে হয়, কারণ তারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে দুঃসহ জীবন-যাপনে বাধ্য করে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয় পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর বক্তব্যের পতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে রাজোচিত জীবন নির্বাহ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্যই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কানা গলি দিয়ে কখনো বিনা ভোটে কখনো নিশিরাতের ভোটে ক্ষমতায় আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবদেরকে চক্রান্তের জন্য অলি গলি পথ অবলম্বন করতে হয়। এজন্য যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এখন দুর্নীতির জয়জয়কার নারকীয় উল্লাসে চলছে (গুম-খুন-ক্রসফায়ার) ক্ষমতাসীনদের আশকারায় পৈশাচিক আনন্দে পরিণত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন জনগণের আতঙ্কের নাম।
পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের সাথে বিএনপি’র দহরম-মহরম বহু পুরনো তথ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিষয় তুলতেই রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে তথ্যমন্ত্রীর এধরণের উদ্ভট বক্তব্য জনগণের মনে ঘোরতর সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মনে হয় তার মন্ত্রীত্ব এখন টালমাটাল অবস্থায় আছে। আওয়ামী মন্ত্রীদের বিচারবুদ্ধি নিয়ে জনগণের মাঝে নানা কথা প্রচলিত আছে। তারা যখন খুব বিচলিত ও বেকায়দায় পড়ে তখনই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিস্কার করে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী মন্ত্রীদের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে দলটির এজেন্টদেরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিন থেকেই চলছে ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জুলুম নির্যাতন। পাশাপাশি চলছে পুলিশী ধরপাকড়। আজ নির্বাচন চলাকালে বিএনপি’র কোন এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকুতে দেয়া হচ্ছেনা। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদেরকেও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেনা। শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে ঢুকে ভোট দিচ্ছে। সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য ও বিএনপি নেতা আব্দুল হাইসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মীকে।