সিলেটে এমসি কলেজ স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার মামলার ৪ নাম্বার আসমি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসমি আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
রোববার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে দুই আসামি গ্রেফতার হয়। মামলার বাকি ৪ আমি পালাতক রয়েছে।
এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত শুক্রবার কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার ভিক টিমের স্বামী স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
তাদের মধ্যে তারেক ও অর্জুন শিক্ষার্থী না হলেও অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের সামনে গৃহবধূটিকে গণধর্ষণ করা হয়। কক্ষটি ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের দখল করা কক্ষ হিসেবে পরিচিত। ওই কক্ষের ছাত্রলীগের একটি পক্ষের ৬-৭ কর্মী থাকে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
কলেজসূত্রে জানা গেছে, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ভেতরে অছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে আস্তানা গেড়েছে। এখানে মাদক সেবন, ব্যবসা ও জুয়ার আসর বসানোসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে তারা। ছাত্রাবাসের ভেতরে অস্ত্র মজুদ করে রাখে।