ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু নৌকায় ভোট চেয়ে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও নির্বাচনী পথসভা করেছেন।
শুক্রবার ( ৯ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্গত ৬৩, ৬৪ ও ৬৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
কাজলা নতুন রাস্তায় ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে উক্ত গণসংযোগ ও পথসভা শুরু হয়। এরপর কাজলার পাড়, কাজিরগাঁও, মৃধাবাড়ী, মাদ্রাসা বাজার হয়ে কবরস্থান মসজিদে পবিত্র জুমআর নামাজ আদায় করেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
পরবর্তীতে নৌকায় ভোট চেয়ে উত্তরপাড়া, কাউন্সিল, মেন্দিবাড়ী, কাঠেরপুল, ধার্মিক পাড়া, কোনাপাড়া, বাঁশেরপুল, শাহজালাল রোড, আলামিন রোড, রোকেয়া আহসান কলেজ, ফার্মের মোড়, মাতুয়াইল মেডিকেল, হাজী লতিফ ভূঁইয়া কলেজ, ধানবাড়ী, রায়েরবাগ দোতলা মসজিদ, তুষার ধারা হয়ে মুজাহিদ নগর এসে শেষ হয়।
গণসংযোগ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এড. সানজিদা খানম, নির্বাচনী আসনের প্রধান সমন্বয়ক ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো: মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, ৬৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম দিলু, ৬৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান বাবুল মোল্লা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এস কে বাদল,মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত নূর খাঁন শান্ত সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
২০ টি স্থানের সংক্ষিপ্ত পথসভায় নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযাদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকা ৫ এর উপ নির্বাচনকে হাল্কা করে দেখার সুযোগ নেই।
বিএনপির প্রার্থী একজন সন্ত্রাসী। ভূমি দখলকারী ও সন্ত্রাসের গডফাদার যিনি দল সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এমপি হিসেবে নিজস্ব সন্ত্রাস বাহিনী গড়ে তুলে এলাকার মানুষের বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে জীবন চলার পথকে থমকে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন সংকটে উক্ত আসনের জনগন বিরক্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হলে তার সন্ত্রাস বাহিনী এলাকাবাসীর ওপরে হামলা করে। এলাকাবাসী সেই থেকে সালাউদ্দিনকে দৌড়ের ওপরে রাখে। এরপর থেকে সে দৌড় সালাউদ্দিন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
মনু আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নৌকাকে বিজয়ী করে দৌড় সালাউদ্দিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিবেন। নেতাকর্মীর প্রতি আহবান থাকবে আপনারা আপনাদের পরিবারের সদস্য সহ পরিচিত সকল ভোটারকে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করবেন।