দেশে শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত ও সৎ সংগঠকদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু।
আজম খসরু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সৎ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে দলকে পুনরায় ঢেলে সাজালে সকল সংকীর্ণতা খুব দ্রুত কেটে যাবে।
সারা দেশের কমিটি গঠন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে পলিটিক্স নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু এসব কথা বলেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে প্রশ্ন তুলতেই সম্পাদক আজম খসরু বলেন, আমাদের ২০১৯ এর (শ্রমিক লীগ) সম্মেলনের পর থেকে কয়েক মাস কাজ করতে পেরেছি। ২০২০ এর মার্চে মহামারী করোনায় সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। আমরা কমিটি পূর্ণাঙ্গের তালিকা অনেক আগেই নেত্রীকে দিয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মতই আমাদের কমিটিও যাচাই করে শ্রীগ্রই ঘোষণা করবেন বলে আশা করছি। তবে যাদের তালিকা দিয়েছি তাদের নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে শ্রমীক লীগ।
আজম খসরু বলেন, দলের জন্য আমরা যে পরিমাণে কাজ করছি তা দেখে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক ছেলেরাই বলছে যে তারা শ্রমিক লীগে আসবেন। আমি মনে করি শ্রমিক লীগে মেধাবী সংগঠকদের প্রয়োজন, মেধাবীরা এগিয়ে আসলেই দল এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরেই শ্রমিক লীগের অবস্থান পাকাপোক্ত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমার অবদানের কথা নেত্রীও জানেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে দলকে রোল মডেল তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছি।
শ্রমিক লীগের থেকে সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কর্মতৎপরতা বেশি দৃশ্যমান মনে করেন অনেকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজম খসরু বলেন, তারা কৌশল অবলম্বন করে মালিক-শ্রমিক মিলিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করেছে। তেলে জলে কখনো মিশে না। মালিক-শ্রমিক মিলিয়ে যেই সংগঠন রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণ করেছে মালিক-পক্ষ। কিন্তু মহামারীর সময়ে শ্রমিকদের পাশে দাড়াতে দেখা যায়নি সেই কথিত মালিক নেতাদের। তবে আমি চাই শ্রমিকরা তাদের অধিকার ফিরে পাক।
আজম খসরু বলেন, করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে দেশে গার্মেন্টস সেক্টরসহ বাকি অন্য সেক্টরের শ্রমিকদেরকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব হয়েছে আমরা করোনাভাইরাসে লক ডাউন চলাকালে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদেরকে এই কাজে সহায়তা করেছে মানবিক সোসাইটিসহ আরও অনেকেই।
করোনা মহামারীর সংকটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলের কথা উল্লেখ করে আজম খসরু বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভারী শিল্প, মাঝারি শিল্প ও ছোট শিল্প ব্যবসায়ীরাও ত্রাণ তহবিলের আওতায় ছিলেন।
পলিটিক্স নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমিক লীগের অফিশিয়াল রেকর্ড অনুসারে আমাদের সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৬ লক্ষ ২০ হাজারের মতো। করোনার দুর্দিনে সকলকে সহযোগিতা করার অর্থ আমাদের নেই। তবে আমাদের সামর্থ অনুসারে দেশের সকল শ্রমিকদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিক্রি করে কিছু অসাধুরা কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের টাকায় অসাধুরা কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। যাদের পরিশ্রমে তাদের টাকা আসছে তাদের দুরবস্থার কথা চিন্তাও করে না।
সারাদেশে দলের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে পলিটিক্স নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেধাবী, শিক্ষিত ও সৎ লোকদের নেতৃত্ব দিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই।গণতন্ত্রের ভিত্তি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে সকল কমিটি দেওয়া হবে এবং সবার সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যাব।