ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ধর্ষণ আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেজন্য সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ধর্ষণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তদন্ত থেকে বিচার ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
এছাড়া আইনী জটিলতা দূর করে ধর্ষিতার বিচার প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। ধর্ষণ নির্মূল করতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষিতার পক্ষে আইনী সহায়তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর উত্তরা বাসভবনে এক যোগদান অনুষ্ঠানে পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
এসময় লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব আলী, লালমনিরহাট জেলা যুবলীগ-এর আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কমিশনার এসএম ওয়াহিদুল হাসান সেনা, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এবং খোলাহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বুলু জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
গতকাল মন্ত্রী পরিষদ সভায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন” সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়া নীতিগত এবং চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়ায় রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও অভিন্দন জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
উল্লেখ্য, গেলো ০৬ অক্টোবর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক বিবৃতিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। ঐ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তিন মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করে মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।