জাতি বিনির্মাণে মানুষের মনন তৈরিতে গণমাধ্যম অনন্য: তথ্যমন্ত্রী

 

বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য মানুষের মনন তৈরিতে গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দের ভূমিকা যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিওকনফারেন্সে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী স্মারক বক্তৃতামালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার মনে করে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনেও গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের পথ চলা, সুষ্ঠুভাবে কাজের ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমের সমালোচনা সহায়ক ভূমিকা রাখে। সেকারণে আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করা এবং সমালোচকদেরকে পুরস্কৃত করার সংস্কৃতিটাও লালন করি। গণমাধ্যমের কাছে আমার নিবেদন, খারাপ কাজের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও প্রয়োজন, তাতে ভালো কাজ উৎসাহিত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গত প্রায় বার বছরে গণমাধ্যমের বিস্ময়কর প্রসার এবং চলতি করোনাকালে সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে সহায়তা বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে, উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ ভালো এবং একইসাথে লক্ষ্য রাখতে হবে, গণমাধ্যম যেন পুঁজির স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়।

মূল ধারার গণমাধ্যম পত্র-পত্রিকা, বেতার ও টেলিভিশন যাতে সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, যে সমস্ত পত্রিকা হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, নিয়মিত বের হয় না সেগুলো আসলে গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশে কতটুকু সহায়ক সেটি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। এবং পত্রিকার প্রচার সংখ্যাও যাতে বাস্তবনির্ভর হয়, এ নিয়েও কাজ চলছে। এসকল ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বহুদিন ধরে যা সম্ভব হয়নি, বাংলাদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে দেখানো আমরা এখন পুরোপুরিভাবে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও যা কয়েক দশকে সম্ভবপর হয়নি, সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সমগ্র ভারতে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে প্রদর্শিত হচ্ছে।

ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।