সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় রিমান্ড শুনানি পেছাল মাননীয় আদলত। রিমান্ড শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন।
ইরফান সেলিম জাহিদের গ্রেফতার এবং রিমান্ড বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে বলেছে, আসামিরা অন্য মামলায় রিমান্ডে আছেন। তাই আদালতে পাঠানো সম্ভব হলো না। ওই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য পুনরায় এ দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুই আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন। এর পর পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন– ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন।
২৬ অক্টোবর ভোরে মামলার পর দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। পরে হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
২৭ অক্টোবর ডিএসসিসির কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বর্তমানে ইরফান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে (রিমান্ড) আছেন।