দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণের সমর্থনহীন, ভোটার বিহীন ভোট ডাকাতের এই সরকার লাইফ সাপোর্টে ছাড়া অন্য কোনো সাপোর্টে থাকার সুযোগ নাই। এই লাইফ সাপোর্টটা খোলার দায়িত্ব যদি জনগণ হাতে নিয়ে নেয় তাহলে সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে তা খোলার লোক নাই। এটা খুললে কিন্তু যারা লাইফ সাপোর্টে থাকে তারা সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র আশু রোগমুক্তির কামনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে করোনার চেয়েও ভয়াবহ এই সরকার। তাদের হাতে দেশের সব লোক আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। সেই রোগটার নাম শেখ হাসিনা। তিনি করোনার চেয়ে ভয়াবহ। এই রোগমুক্তির জন্য তো আমাদের শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে হবে না। রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিধি মেনেই আমাদেরকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করে তা ফেরত আনতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহানগর বিএনপির হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকেই।