জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি বড় বাঁধ তৈরি করবে চীন। প্রকল্পের কাজ আগামী বছর থেকে শুরু হবে বলে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়ং জানান, পানিসম্পদ এবং দেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তার জন্য এ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী (২০২১-২৫) পরিকল্পনায় এ প্রকল্প প্রস্তাবনা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকৌশল সোসাইটির ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে ইয়ান ঝিয়ং বলেন, ‘এটি চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকৌশলের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হবে।’ এদিকে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধনির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত উদ্বিগ্ন। তবে উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে চীন বলেছে, তারা বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থ মাথায় রাখবে।
ভারত সরকার চীনকে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতে ব্রহ্মপুত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে চীন তিব্বতে তাদের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ স্টেশন চালু করে। এর ব্যয় ছিল দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র এশিয়া মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ। এর উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের কাছে জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। তিব্বতের পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র ভারতের অরুণাচলে প্রবেশ করেছে। তারপর আসামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা হচ্ছে যমুনা। এক কালের প্রশস্ত এই ব্রহ্মপুত্র এখন শীর্ণকায়।