“দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যখাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে। এই করোনা সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরণের চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। এর ফলে, আমাদের দেশে এইডস-এর সংক্রমন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
দেশের স্বাস্থ্যখাতের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে যত পুরস্কার পেয়ে দেশকে বিশ্ববাসীর নিকট সম্মানিত করেছেন তার অধিকাংশই তিনি পেয়েছেন স্বাস্থ্যখাতের সফলতার জন্য। স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই পোলিও, টিটেনাস, যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। বিশে^র সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ সময় এই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রয়োগেও আগামীতে স্বাস্থ্যখাত সফল হবে।”
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, “করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও এখন আর তেমন সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে। কেননা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের এখন সব ধরণের প্রস্তুতি হাতে রয়েছে। হাসপাতাল প্রস্তুতকরণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সবই এখন প্রস্তুত। তাই দ্বিতীয় ঢেউ চলে এলেও তাকে সামলানো কঠিন হবে না। তবে, দেশের মানুষকেও একই সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। মাস্ক পড়ার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার ধীরে ধীরে কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলার কাজকে সহজ করতে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল এন্ড এএসপি অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম প্রমূখ।