জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় গত বছর অক্টোবরে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ওই দিনই টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। এ বছর ২৯ অক্টোবর উঠে গেছে সেই নিষেধাজ্ঞা। তাই আবার র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত হন বাংলাদেশি তারকা। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পান তিনি।
এর কদিন পর টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ছিলেন দুইয়ে। এখনো সে অবস্থানেই আছেন তিনি।
এবার টেস্টের অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আইসিসি। সোমবার ঘোষিত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে চারে অবস্থান করছেন সাকিব।
আইসিসির ওয়েবসাইটের খবরে জানা যায়, টেস্টের অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৩৬৬। ৪৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। দুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের হালনাগাদ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল আইসিসি। যেখানে ৩৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাকিব। ৩০১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তৃতীয় স্থানে থাকা ক্রিস ওকসের রেটিং পয়েন্ট ২৮১। চারে আছেন ইংলিশ তারকা বেন স্টোকস। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ২৭৬।
শেন উইলিয়ামসের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। ২৩৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সেরা ১০-এ ঢুকেছেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার। সেরা ১০-এর বাকিরা হলেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম, নিউজিল্যান্ডের কলিন দি গ্র্যান্ডহোম, আফগানিস্তানের রশিদ খান, কিউই তারকা মিচেল স্যান্টনার ও ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।
কদিন পর ১১ নভেম্বর টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারদের র্যাইঙ্কিং প্রকাশ করে আইসিসি। র্যাঙ্কিংয়ে ২৯৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। ২৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সাকিব। আর ২২০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
এক বছরে তিন সংস্করণে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে মার্চের মাঝামাঝিতে করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্ধেকের বেশি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। তাই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ১৪টি ম্যাচ মিস করেছেন সাকিব। সব মিলে তিনটি ওয়ানডে, চারটি টেস্ট ও সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিস করেন সাকিব।