বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতুর বিজয়ের অপেক্ষা

বিজয়ের মাসে বহু আকাঙ্ক্ষিত এক যাত্রার অবসান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ বৃহস্পতিবার বসবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি। এতে দৃশ্যমান হয়ে যাবে পুরো ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার পদ্মা সেতু। আজ এর অপেক্ষায় পুরো জাতি, বিষেশ করে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ।

যাত্রাটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ৩ বছর আগে, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দিয়ে। সেই সেতুর মধ্যখানের দূরত্বই বলে দিচ্ছে আর মাত্র একটি স্প্যান। তারপর পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের মধ্যে ঘটবে মিলন। করোনার কারণে আনুষ্ঠানিকতা নেই, তবু এর মধ্যে মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্বপ্নের সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি।

চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি করছে সেতুর কাজ। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হয়েছে। দুদেশের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বড় একটি অংশ জুড়ে। চাইনিজ ভাষায় স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়েছে, শ্রমিকদের অধিক পরিশ্রমের-কাজের কথা এবং শ্রমিকদের অগ্রগতিসহ তাদের কীর্তিগাথা।

অপেক্ষায় আছে বাঙালির এ বড় অর্জনের সহায়ক বিশেষায়িত ভাসমান ক্রেন তিয়ান ইয়ো। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে মাঝ-নদীতে ছুটেছে গতকাল বুধবার বিকেলে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি দেশের মানুষের অপেক্ষার ঘটবে অবসান।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কারণে বিশ্ব রেকর্ড বাংলাদেশের। তবে একটা বড় মাইলফলক স্পর্শ করবে ৪১টি স্প্যান বসে যাওয়ার পর। সেতুর মাওয়া প্রান্তে এখন ১১টি স্প্যান পাড় ছুঁয়ে দৃশ্যমান, জাজিরা প্রান্তে ২৯টি। মধ্যখানে একটি শূন্যস্থান। সেখানেই আজ ৪১তম স্প্যান বসে যাওয়ার পর মাওয়া থেকে জাজিরা, বিনি সুতোয় বেধে ফেলা হবে দুই পাড়কে। শীত বর্ষায় একেক সময় নদীর ভিন্ন ভিন্ন রূপ ভুগিয়েছে সেতুর কাজে। এরপর স্প্যানের উপর স্ল্যাব বসানোর কাজ থাকায় সেতুর কাজে প্রাকৃতিক কোন জটিলতা থাকবে না আর।