সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস এবং উন্মুক্ত স্থানে হাত ধোয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা এবং ওয়াটার এইড যৌথ উদ্যোগে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত ‘হাত ধোয়ার গাড়ি’র উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ‘হাত ধোয়ার গাড়ি’র উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি কাজ করছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব না হলে জানুয়ারির মধ্যেই হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে লকডাউন চলা অবস্থাতেও ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করেছে। পুরো দেশে পানির কোন সংকট দেখা দেয়নি।
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক এবং ঘনঘন হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজ যে সকল হাত ধোয়ার গাড়ি উদ্বোধন করা হলো এর সুফল নগরবাসী পাবেন। করোনার সংক্রমণ রোধে এটি সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াবে এবং বিনামূল্যে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয় সুবিধাদি ও সরবরাহ করবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অত্যন্ত সতর্ক ও প্রস্তত আছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা টেস্টের জন্য দেশে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব ছিল যা এখন একশো ছাড়িয়ে। রাজধানী ছাড়া দেশের অন্যান্য হাসপাতালে খুব কম সংখ্যক আইসিইউ ছিলো এখন প্রতি জেলায় অসংখ্য আইসিইউ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতার কারণে স্বাস্থ্যসেবাসহ করোনার প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলায় অল্প সময়ের মধ্যে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বিশ্বে খুব অল্প দেশই করতে পেরেছে। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোঃ তাজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশের নদী-নালা, খাল যারাই দখল করুক না কেন খুব দ্রুতই দখলমুক্ত করা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, দেশে সংবিধান আছে। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার থেকেই সরকার মানুষের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহিম এবং ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান সহ ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।