চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে সরকার ভয় পায় বলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেগম জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত থাকলে সরকারের লাগামহীন লুটপাট-অপকর্মে বিপত্তি ঘটবে এবং নিশিরাতের নির্বাচন করতে পারত না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকার কথা না। পার্থক্যটা হচ্ছে, শুধু হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তাকে তার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, চারবারের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, তার ওপর জুলুমের যেন শেষ হচ্ছে না। সরকার তাকে ভয় পায়। কারণ তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকলে সরকারের লাগামহীন লুটপাট-অপকর্মে বিপত্তি ঘটবে এবং নিশিরাতের নির্বাচন করতে পারত না।
‘এজন্য তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের মাকে প্রতিহিংসাপরায়ণতার অনলে হত্যা করতে চায় সরকার। আমরা অবিলম্বে তার গৃহ অন্তরীণ অবস্থার অবসান চাই। সম্পূর্ণ মুক্তি চাই। দেশনেত্রীর মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটবে না। দেশবাসীর মুক্তি মিলবে না।’
রিজভী আরও বলেন, আপনারা অবগত আছেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দরকার। কারণ এখানে ডাক্তার যারা আছেন, তারা বলছেন যে, তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু সরকার নানা শর্তের বেড়াজাল তৈরি করেছে; যাতে তিনি তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে না পারেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাধীনভাবে দেশে-বিদেশে যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসাগ্রহণের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণের দাবি জানান বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম মহাসচিব।