নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দিতেই বিজয়ের প্রাক্কালে দেশীয় আলবদরদের সহয়োগিতায় দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী শুধু জাতীয়ভাবে না; আন্তর্জাতিকভাবেও পালিত হচ্ছে। আজকে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার দিচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত; এর থেকে গর্ব আর অহংকারের কী হতে পারে!’
আজ সোমবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিরল পাক-হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকেকেউ মুছে ফেলতে পারেনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনী মোস্তাকরা ভেবেছিল এ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে না। তারা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ জানবে না। মানুষের মন থেকে ২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস মুছে যাবে। কিন্তু; তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে নাই। স্বাধীনতার সেই ইতিহাসকে মুছে ফেলতে পারে নাই। তিনি বলেন, জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার অনেক চেষ্টা করেছে, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাজনীতিতে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনী স্বাধীনতাবিরোধীদের এমপি বানানো হয়েছে, মন্ত্রী বানানো হয়েছে। কোন লাভ হয় নাই। বঙ্গবন্ধুকে যারা আঘাত করার চেষ্টা করছে তারা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন; আমি বলব আপনারা ভুল করছেন। যে অন্ধকার পথে হাটছেন, সে অন্ধকারে আপনারা হারিয়ে যাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাবের মো. সোয়াইবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিরল পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ভুট্টো।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিরলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।