সাহস করে সত্য কথা বলেছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বলে যাবো বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর লোকেরা নয়, বরং ভাড়াটিয়া গুণ্ডারা আমার প্রচারণার পোষ্টার ছিঁড়ছে। এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পথসভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এ মন্তব্য করেন তিনি।
আবুদল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, অনেকবার জেল খেটেছি। আর মেরে ফেলবেন? সেটা শেষ। আমাদের পোস্টার বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর লোকেরা ছিঁড়ছে না, ছিঁড়ছে ফেনী ও মাইজদী থেকে পাঠানো গুন্ডা-পান্ডারা। যারা অস্ত্র পাঠিয়েছেন, তারা এগুলো করছেন আমাকে উত্ত্যক্ত করতে। আমি সাহস করে সত্য কথা বলেছি, বলব মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। বহিষ্কার করলে সেদিনের মতো সেখানে (জিরো পয়েন্ট) গিয়ে শুয়ে থাকব। কেউ সঙ্গে না গেলে একা থাকব। জেলে দিলে, আমি জেল ৮২ সাল থেকে খেটেছি। তিতা হয়ে গেছি জেল খাটতে খাটতে। এগুলোকে ভয় পেয়ে লাভ নাই।’
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজে মুজিববাদী ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড উঠিয়েছে কে? সাহাব উদ্দিন। আর এখন তারা ত্যাগী নেতা নন, ত্যাগী নেতা জাবেদ (মিনহাজ আহমেদ জাবেদ), ত্যাগী নেতা মানিক (তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া)। আমরা যদি সত্যিকারের কাজের লোকের মূল্যায়ন না করি, বাজে লোকের সৃষ্টি হবে। ত্যাগী লোকের কথা না বললে ত্যাগী লোকের সৃষ্টি হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার শাহদাত হোসেন চৌধুরী সাহেবকে বলেছি, নিরপেক্ষ ভোট করে দেওয়ার জন্য। প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে। আমি তাদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছি। কিছু লোকের থেকে মাসোয়ারা খায়, তবে সবাই খারাপ-এটাও ঠিক নয়।’
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘এই প্রশাসন আজ মনে করে শেখ হাসিনাকে আমরা বানাইছি, যা ইচ্ছা তা করব। রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির বিচার হয়, এতে মানুষ খুশি। কিন্তু প্রশাসনের লোক যে এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হয় না।’
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।