যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে, এই আশঙ্কা করেছিল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এই আশঙ্কা সত্যি হলো। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে উপকূলে ভেসে এসেছে যাত্রীদের দেহাংশ। এ অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মীসহ যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়েছিল, তাদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা উদ্ধারকারীদের।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রোববার সকাল পর্যন্ত দুটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে যাত্রীদের দেহাংশ মিলেছে। অন্যটিতে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের টুকরা।’
থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস এলাকায় সাগর থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের টুকরো উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি। এরপরই বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও মৃতদেহ উদ্ধারে রোববার দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়। রাতে কিছু সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখতে হয়। আজ সকাল থেকেই আবারও কাজ শুরু হয় সেখানে।
উদ্ধারকার্য চালাতে এ মুহূর্তে ১০টি জাহাজ নামিয়েছে জাকার্তা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের টুকরা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পোনতিয়ানাকের উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজে ১৮২ নম্বর বিমানটি। পাইলট, সহকারী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৬ শিশু। শিশুদের মধ্যে আবার একজন সদ্যোজাত। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের।
একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট জানায়, উড়ানের পর সোজা ১০ হাজার ৯০০ ফুট উপরে উঠে যায় বিমানটি। কিন্তু মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট নেমে আসে। সেই অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে জানা যায় জাভা সাগরে বিমানটি ভেঙে পড়েছে।