বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান তালিকাভুক্ত হয়েছে মহামারীর শুরুর দিকে রয়েছে। দেশটিতে লক্ষাধীকের বেশি আক্রান্ত। জনসংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আজ থেকে করোনা টিকা সপ্তাহ শুরু হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
কর্মসূচির শুরুর দিন শনিবার দেশটির ৩ লাখ মানুষ পাচ্ছেন করোনার টিকা। খবর দ্য হিন্দুর।
ভারতের সব রাজ্যে শুরু হচ্ছে এ টিকাদান কর্মসূচির। এ লক্ষ্যে শনিবার দেশটির ৩ হাজার ৬ টি কেন্দ্রে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
২৪ ঘণ্টা তথ্য সেবা দিতে খোলা হয়েছে কল সেন্টার। ১০৭৫ নম্বরে কল করলেই করোনার টিকার বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন যে কেউ।
ভারতীয় দুই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ও উৎপাদিত করোনার টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দিয়ে শুরু হয়েছে এ টিকাদান কর্মসূচির। কোভ্যাক্সিন তৈরি ভারত বায়োটেকের, আর কোভিশিল্ডের উৎপাদক সেরাম ইন্সটিটিউট।
কদিন আগে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ব্যবহারের জন্য দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভারতের এ দুটি টিকা হচ্ছে দুই ডোজের। সর্বোচ্চ সুরক্ষা পেতে দুই ডোজ টিকা দিতে হবে। এ দুটি টিকা স্বাভাবিক ফ্রিজের তাপমাত্রায় (দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা যায়।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এর আগে বলেছিলেন, এখন পর্যন্ত যে ৫ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদন করা হয়েছে, তার অধিকাংশই ভারতের জন্য। ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এলা বলেন, কোভ্যাক্সিনের ২ কোটি ডোজ প্রস্তুত করা হয়েছে।