দিবালকে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভোট ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ করে জাতিয়তাবাদি বিএনপি। তারা বলেন, দেশের পৌর নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে গুণ্ডারা ভোট ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছেও বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের মাঝেই ঢাকায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ধানের শীষের সমর্থক এমনকি প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, আজকের পৌরসভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকালে থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি। অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে।
সকালে পাবনায় বিএনপি মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নকে মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পাবনায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাকে জোর করে বের করে দিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা গায়ের জোরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের অবস্থা যে কী, তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি আর বলতে চাই না।
ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এমনিতেই মানুষ ভোট দিতে পারে না, এখন আবার মেশিনে ভোট। এই মেশিনে ভোটে দুরভিসন্ধি আছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের রজতজন্তরী উদযাপনে গঠিত সন্মাননা বিষয়ক উপকমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন তিনি।
শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।