ভারত থেকে আসার করোনার ভেকসিন নিতে প্রস্তত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা। বুধবার বিকেলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এই টিকা নেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহুল প্রত্যাশিত টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টিকাদানের প্রথম দিন বুধবার প্রথম চিকিৎসক হিসেবে টিকা নেবেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন। এ ছাড়া প্রথম দিনে টিকা নেওয়ার তালিকায় সিনিয়র স্টাফ নার্স রিনা সরকার ও মুন্নী খাতুনের নাম রয়েছে। টিকা প্রয়োগকারীর নামের তালিকায় আছে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার ও দিপালী ইয়াসমিন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রস্তুতি পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার ২৫ জনকে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হবে। টিকা নেওয়ার জন্য যারা নিজেরা নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা টিকাকেন্দ্রে গিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন।
সূত্র জানায়, পাঁচটি হাসপাতালে প্রথম দিনে মোট ১০০ জন টিকা নেবেন। এই ১০০ জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় এক সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। গণটিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে জনসংখ্যার অনুপাতে জেলাওয়ারি সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। গণটিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ এবং তৃতীয় মাসে আবারও ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ৯২টি স্বল্পোন্নত দেশে টিকা বিতরণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গঠিত জোট কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের আট লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। এই টিকা ন্যূনতম মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কারণে এটি ঢাকার বাইরে যাবে না। পর্যায়ক্রমে টিকা আসবে এবং ধাপে ধাপে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে টিকার জন্য কাউকে জোর করা হবে না। স্বেচ্ছায় গ্রহণের ভিত্তিতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।