প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাম পর্যায়ে ও প্রত্যন্ত এলাকায় মান সম্পন্ন ভয়েস এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে রাষ্টায়াত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, আপ-গ্রেডেশন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি ৫জি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রাকপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে টেলিটকের কোর/ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত একটি নতুন প্রকল্প গ্রহন করা হচ্ছে।’
সংসদ নেতার প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে কুড়িগ্রাম ১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলাম হোসেন সওদাগরের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে তিনি এ কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জি পরিষেবার জন্য গ্রাম পর্যায়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি ৩জি প্রযুক্তি চালু এবং ২.৫ জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ফেজ ২) প্রকল্পের অধীনে ২জি পরিষেবার জন্য ৫৪০ টি সাইটে বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) , ১৬৭১ সাইটে ৩জি নোডবি এবং ২০৩৫ টি সাইটে ৪জি ইনোডবি স্থাপন চলতি বছরের ৩০ জুন নাগাদ সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো বলেন, হাওর, জলাশয়, দ্বীপ এবং ছিটমহল অঞ্চলে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ৪০০ টি নতুন বিটিএস বসানো চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বাগেরহাট, ভোলা, বরগুনা, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং সাতক্ষীরা জেলায় সৌর বিদ্যুৎ ভিত্তিক ৪০০ বিটিএস স্থাপনের পাশাপাশি ২.৫ জি এবং ৪ জি সুবিধা তৈরির কাজ চলতি বছরের অক্টোবর নাগাদ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও উপকূল, বন, পার্বত্য এলাকা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪০০ নতুন বিটিএস (২জি/৩জি/৪জি) স্থাপন করা হবে পাশপাশি সোস্যাল অবলিগেটরি ফান্ডের (এসওএফ) অধীনে বিদ্যমান ১৫০০ সাইটে ৪জি সেবা সুবিধা সংযুক্ত করার কাজ ২০৩৪ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।