নীতি নৈতিকতাহীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিথ্যা কথা বলাকে জায়েজ মনে করে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতাদের জবাবদিহিতার নৈতিক সাহস নেই। তারা দেশের জনসাধারণের সামনে সত্য বলতে ভয় পায় বলেই মিথ্যে বলাকে জায়েজ মনে করে হাসিরসে উৎসবে পরিণত করেছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নড়াইলের একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবি দলের উদ্দ্যোগে মিছিলটি বিজয় নগর গিয়ে শেষ হয়।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের টপটুবটম মুখস্ত মিথ্যা কথা বলে বলে। দুই দিন আগে পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন বাংলাদেশ হাঙ্গেরিকে ৫ হাজার টিকা দিবে। অথচ আমরা যেটি জানতে পারলাম হাঙ্গেরির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথাই বলা হয়নি। কারণ হাঙ্গেরি নিজেই একটি উন্নত দেশ, তাদের বাংলাদেশ থেকে টিকা নেয়ার কথা না। গণমাধ্যমেই প্রচার হয়েছে তারা বাংলাদেশ থেকে টিকা নেবে না।
তিনি বলেন, শাহরিয়ার আলমও সেই মুখস্ত মিথ্যা কথাই বললেন।যারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করে না, তাদের কোনো নীতি নৈতিকতা নেই। তারা মিথ্যা কথা বলাকে জায়েজ মনে করে। শুধুমাত্র দেশের লোককে তারা বিভ্রান্ত করছে না গোটা বিশ্ববাসীকে ওই তারা বিভ্রান্ত করছে।এবং এটা করতে গিয়ে তারা গোটা দেশের ইমেজকে বিনষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
রিজভী আরও বলেন, দেশে এখন করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগে থেকেই বলছি ভারত থেকে আনা টিকার বিষয়ে আরো বেশি গবেষণা করে এটার নির্ভুল এবং এটা যে মানবদেহের জন্য কার্যকর হবে এই বিষয়টা বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত ছিল।কিন্তু সরকার সেটা না করে একতরফাভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছে। ফলে মানুষের মধ্যে যে সন্দেহ তা থেকেই গেছে। এই টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। টিকা নেয়ার জন্য ১৮ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ২ লক্ষ মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছে। এতেই বোঝা যায় যে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই এটা নেওয়ার জন্য।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও অংশ নেন ঢাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহিদুর রহমান, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন, সোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোরশেদ আলম ও ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।