নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা একাডেমির সভাপতি ও বিশিষ্ট ফোকলরবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান বলেছেন, মুনতাসীর মামুন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। তিনি বৃত্ত ভেঙে বের হয়ে এসেছেন ইতিহাস ও মানুৃষের কাছে। তরুণেরা মুনতাসীর মামুনের সঙ্গে থাকেন। মাঠে ময়দানে গিয়ে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ’র উত্তরসূরির কাজটি করছেন মামুন। আমার ছোট হলেও তাকে স্নেহ ও শ্রদ্ধা করি।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে হেরিটেজ আর্কাইভস ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা: মুনতাসীর মামুনের বিচিত্র ভুবন’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি নীরবতা জানিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় মুনতাসীর মামুন ও অতিথিদেরকে। এসময় হেরিটেজ আর্কাইভস’র পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান শেষে মুনতাসীর মামুনের জীবন ও কর্ম নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন, হেরিটেজ আর্কাইভসের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।
ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন তার বক্তব্যে বলেন, আমি আজ গর্বিত। জীবদ্দশায় আমি আমাকে নিয়ে আয়োজন দেখে যেতে পারছি। কর্মেই মুক্তি খুঁজেছি, কর্মেই আনন্দ খুঁজেছি, ক্রোধ থেকে লিখেছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান বলেন, মুনতাসীর মামুনকে সম্মানিত করে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। এই আয়োজর করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এসময় হেরিটেজ আর্কাইভস থেকে স্থানীয় ইতিহাস জার্নালের বঙ্গবন্ধু সংখ্যার মোড়ক উন্মেচন করা হয়।
দিনব্যাপী সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন, ড. মো. মাহবুবর রহমান, ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান, মামুন সিদ্দীকী, ড. চোধুরী শহীদ কাদের, ড. আহমেদ শরীফ, ড. মোল্লা আমীর হোসেন, শংকর কুমার মল্লিক, মো. বেলাল হোসেন, তপন পালিত, মিঠুন সাহা। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করবেন, ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, ড. আবুল কাশেম, ড. একেএম জসিম উদ্দিন, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. মোকবুল হোসেন, ড. সাজ্জাদ বকুল সহ আরো অনেকেই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. সাজ্জাদ বকুল।