না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সুত্রাপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর স্বজনেরা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনেরা আরও জানান, তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসকদের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে তাঁকে বাসায় নিয়ে যান স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচিত্রজগতে আসেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। শেষ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন খ্যাতিমান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে ১৯৬৫ সালে। খলনায়ক হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৬ সালে। সেটি হল- আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায়। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।