ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল দাবি, গারদে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করছে যুবদল। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া দলটির নেতা কর্মীদের যে কোন আগ্রাসন ঠেকাতে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে একই স্থানে উপস্থিত রয়েছে পুলিশ।
আজ বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়া শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেসক্লাবের সামনে সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম চালাচ্ছে যুবদল। সমাবেশস্থলের পাশেই পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়ে আছেন। প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশের সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
যুবদলের এই কর্মসূচির কারণে প্রেসক্লাবসংলগ্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে যাতে একটি করে গাড়ি যেতে পারে সেই জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন।
সমাবেশে ইতোমধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত হয়েছেন। আজকের সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনও সেখানে উপস্থিত হননি।
সম্প্রতি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছিল পুলিশ। এরপর বরিশাল ও রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।