সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে শুধু মাত্র। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে যুগপোগী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৯ শে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদ’র উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়ার খেতাব বাতিরে বিষয়টিতে বোঝার ভুল আছে। যেদিন আমরা এ বিষয়ে সভা করি সেদিন কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছেল। এরা আত্মস্বীকৃত খুনি। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত এমন ব্যক্তি।
মন্ত্রী বলেন, জিয়ার খেতাবের বিষয়ে কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত করার পর জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে।
পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।