উপসচিব পদে ৩২৭ জনের পদোন্নতি

সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিবে পদোন্নতি পেয়েছেন ৩৩৭ কর্মকর্তা। রোববার এই পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এদেরম মধ্যে বিদেশে থাকা ১৫ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।

পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে নতুন উপসচিবদের পদায়ন করে আদেশ জারি করা হয়নি।

নতুন বছরে প্রশাসনে এটাই বড় ধরনের পদোন্নতি। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ৯৮ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব ও ৫ জুন ১২৩ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল।

তবে উপসচিব পদে এর আগে বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ওই সময় ৪০৭ জন কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। উপসচিব থেকে উপরের পদগুলো সরকারের পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।

এবার প্রশাসন ক্যাডারের ২৫৮ জন কর্মকর্তা এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব হয়েছেন ৭৯ জন কর্মকর্তা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আনিছুর রহমান মিঞা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল বিবিএস ২৭তম ব্যাচ। এছাড়া এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তারাও উপসচিব পদে পদোন্নতির তালিকায় এসেছেন। যারা যোগ্য আমরা তাদেরই পদোন্নতি দিয়েছি।

প্রশাসনে উপসচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। পদোন্নতি প্রাপ্তদের অনেককেই আগের পদে (ইনসিটু) কাজ করতে হবে।

সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৩ নম্বর পেতে হবে।