মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে আটকে পড়া বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার ইয়াঙ্গুনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আটকে পড়েন প্রায় ২শ বিক্ষোভকারী। বিবিসি।
ইয়াঙ্গুনের একটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় দুশ’র মতো বিক্ষোভকারীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা ওই ভবনে আটকা পড়ে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় বলছে, বিক্ষোভকারীদের ওই দলটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিল এবং তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত।
দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আটকে পড়া বিক্ষোভকারী দলটি ইয়াঙ্গুনের সনচুং এলাকার চার রাস্তা এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় আটকা পড়ে।
জেলার বাইরে থেকে কেউ এসেছে কিনা তা খুঁজতে পুলিশ ওই এলাকায় বাড়িঘরে তল্লাশি করছিল। স্থানীয় অধিবাসী ও স্থানীয় একটি নিউজ সার্ভিস ফেসবুকে জানিয়েছে যে, অন্তত বিশ জনকে এ সময় আটক করা হয়।
সেসময় সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ধারণা করা হচ্ছে যে এগুলো সামরিক বাহিনীর ছোড়া স্টান গ্রেনেডের শব্দ। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণ করতে এবং সহিংসতা বা গ্রেফতার ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বলে তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আটকে পড়াদের অনেকেই নারী যারা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের র্যালিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। এদিকে ইয়াঙ্গুনে কারফিউয়ের মধ্যেই বহু মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাদেরকে ‘সনচুংয়ের ছাত্রদের ছেড়ে দাও’বলে শ্লোগান দিতেও শোনা গেছে।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়েছে এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। সোমবারও দেশটিতে অন্তত তিনজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা সামরিক শাসনের অবসান এবং অং সান সুচিসহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।