প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বয়ং সম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পেতে সরকারের পদক্ষেপে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে চোখের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণের খরচ হওয়ায় পাহাড়ের মানুষেরা চোখের সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। দেশের নাগরিক হিসেবে এটি পাওয়াতাদের অধিকার। আমি তো জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫টি বিভাগের আওতাধীন ২০টি জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’-এর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এই কারণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে মানুষ সহজে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।’
করোনা দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।’ এ সময় করোনার টিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭২ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি ও লুটপাটকারীরা ক্ষমতায় আসে। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এটা আশা করা যায় না। আমরা ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলাম। পরে ২০০১ সালে বিএনপি এসে এগুলো নষ্ট করেছে।’
অনুষ্ঠানে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তাফা, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।
একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা, চাপাইনবাগঞ্জের নচোল উপজেলা ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা এতে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন।