আজ শুরু হচ্ছে বাঙ্গালীদের শব্দ ভাণ্ডার মেলা

শব্দ ভাণ্ডারে খচিত হরেক রকমের প্রাণ ফিরে পায় বই নামক এক পাণ্ডলিতে। তাই বাঙ্গালীদের প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাঙালির প্রাণের মেলা, জ্ঞানের মেলার পর্দা উঠছে আজ। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক এই আয়োজন।

বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতিসচিব মো. বদরুল আরেফীন শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্বাগত বক্তব্য দেবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও দেওয়া হবে।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বিকেল ৫টায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মেলা প্রাঙ্গণ। বইমেলা আয়োজন কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল ফিরোজ বলেন, ‘অনেকেই উদ্বেগ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন মেলার আয়োজন নিয়ে। মেলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ঝড়-বৃষ্টি পরিস্থিতি মোকাবেলায়, নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। লেখক-প্রকাশক-পাঠক-দর্শনার্থী সবার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি।’

জানা গেছে, মাস্ক পরা ছাড়া এবার কাউকে মেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। মেলার প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় বিভিন্ন টিমও কাজ করবে। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনটি প্রবেশপথ ও তিনটি বাহির পথ থাকবে। উদ্যানের পূর্ব প্রান্তে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে নতুন প্রবেশ পথ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবার অনুষ্ঠিত হবে বইমেলা। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট মিলিয়ে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।