করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে কড়া লকডাউনের আজকে ৬ষ্ঠ দিন চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আরো বেশ কিছুদিন লকডাউন থাকলে ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসবে। আর তাদের পরামর্শে সরকার আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার নিজ বাসভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের এও বলেছেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত প্রথম দফা সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। এদিন থেকেই আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
এর আগে রোববার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউনের’ সুপারিশ করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
রোববার রাতে কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
সারাদেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয় কমিটি।
এছাড়া ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শও দিয়েছে কমিটি।
সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। ২০ এপ্রিল তা শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা ভাবনার কথা জানাল সরকার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ তীব্র হয়।
সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর লকডাউন দেয় সরকার।