শুক্রবার ভোররাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ইসরায়েল ও গাজার হামাসবাহিনীর মধ্যে। এর ফলে অঞ্চলটিতে স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর মতে, ‘‘ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরতে পারে।’’
নেতানিয়াহু সরকারের উপর সংঘর্ষ বিরতি কার্যকরের জন্য পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকাও প্রবল চাপ তৈরি করেছিল। প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ওয়াশিংটনের পশ্চিম এশিয়া নীতি পুরোপুরি ‘ইজরায়েলপন্থী’ এবং ‘ফিলিস্তিন-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। কিন্তু বাইডেনের শুক্রবারের মন্তব্য তা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
নব্বইয়ের দশকে আমেরিকার মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনী নেতা ইয়াসের আরাফতের সঙ্গে ইসরায়েল সরকার অসলো চুক্তিতে সই করেছিল। সেই চুক্তি মেনে গাজা ভূখণ্ড এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক স্বশাসিত অঞ্চল হলেও প্যালেস্তেনীয়দের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি পূরণ হয়নি। ট্রাম্পের জমানা পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের সেই দাবি সমর্থনের কোনও বার্তা দেয়নি ওয়াশিংটন। শুক্রবার সেই বার্তা দিলেন বাইডেন। তবে সেই সঙ্গেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
গত ১০ মে থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ধারাবাহিক নৃশংস হামলায় গাজায় ৬৫ জন শিশু-সহ ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার জন। বিমানহামলায় গাজার ১৭ হাজারের অধিক বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে প্রায় ৮ লাখ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।
পাল্টা ইজরায়েল সেনা দাবি করেছে, হামাস ও অন্যান্য ইসলামপন্থী গোষ্ঠী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রকেট ছুড়েছে। তবে এর বেশিরভাগকেই ‘ডোম এয়ার ডিফেন্স’ দিয়ে আটকানো গিয়েছে। ফিলিস্তিনী গোষ্ঠীগুলির রকেট হামলায় ইজরায়েলে ২ শিশু, ১ সেনা-সহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।