দেশ থেকে নারী পাচার এবং সাপ্রতি ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম মূল হোতা আশরাফুল মন্ডল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী ম্যাডাম সাহিদা। বাকি দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
র্যাব তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। র্যাব মিডিয়ার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিকাল ৫টায় বিস্তারিত জানাতে প্রেস ব্রিফিং করবে র্যাব।
এর আগে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সব আসামি বাংলাদেশি বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। ওই তরুণীকে পাচারের উদ্দেশে ভারত নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা।
ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস শুক্রবার জানায়, ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করে যুবকদের একটি গ্রুপ। তারা সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধমে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুজন নারীও রয়েছেন।
নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।
হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ জানান, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা।
ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার এনডিটিভি জানায়, নির্যাতনের ওই ঘটনাটি ঘটেছে ছয় দিন আগে। বীভৎস কায়দায় নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখার পর প্রথম পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা।
হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই ভিডিওর উৎস খুঁজতে গিয়ে আসাম পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতনে জড়িতরা আছে বেঙ্গালুরুতে। তারপর সেই তথ্য কর্ণাটক পুলিশকে সরবরাহ করে তারা।
পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছয়জনকে গ্রেফতার করে।