আক্রমণাত্মক ফুটবল ম্যাচে তিতের দলের সামনে পাত্তাই পেলনা ভেনেজুয়েলা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ৩-০ গোরে জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চায় কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মার্কিনিয়োস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। শেষ দিকে জালের দেখা পান গাব্রিয়েল বারবোসা।
সব সংশয় পেছনে ফেলে সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর তিনটায় মাঠে গড়ায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। দেশে করোনাভাইরাসের নাজুক পরিস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিপক্ষে ছিলেন নেইমার-কাসেমিরোরা। তবে মাঠের লড়াই শুরুর পর তারা খেলেছেন নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই।
যে করোনাভাইরাসের শঙ্কায় কোপা আমেরিকার আয়োজনের বিরোধিতা করছে একটি অংশ তার দাপট কিন্তু থেমে নেই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন আট খেলোয়াড়সহ ভেনেজুয়েলা দলের ১৩ জন। প্রথম পছন্দের সাত জনকে ছাড়া খেলতে নেমে ব্রাজিলকে তেমন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি দলটি।
খর্বশক্তির ভেনেজুয়েলাকে শুরু থেকে চেপে ধরে ব্রাজিল। অষ্টম মিনিটে তারা পায় প্রথম ভালো সুযোগ। নেইমারের কর্নারে কাছের পোস্টে রিশার্লিসনের ফ্লিকে স্রেফ পা ছোঁয়ানোর প্রয়োজন ছিল কারো। দূরের পোস্টে ছুটে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গাব্রিয়েল জেসুস, কিন্তু নাগাল পাননি তিনি।
দুই মিনিট পর এর চেয়েও ভালো সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। নেইমারের পাস ডি-বক্সে খুঁজে পায় রিশার্লিসনকে। সামনে ছিলেন কেবল ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক জোয়েল গ্রাটেরল। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি এভারটন ফরোয়ার্ড।
একাদশ মিনিটেও এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। রেনান লোদির ফ্রি কিকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অরক্ষিত এদের মিলিতাও। ৯ মিনিট পর দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করেন দানিলো। বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের কর্নার থেকে গোল লাইনের সামনে বল পেয়ে যান মার্কিনিয়োস। সঙ্গে থাকা ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়ের বাধার মুখেও বুদ্ধিদীপ্ত এক টোকায় জাল খুঁজে নেন তিনি।
দুই মিনিট পর জালে বল পাঠান রিশার্লিসন। তবে তিনি অফসাইডে ছিলেন। ৩০তম মিনিটে মিলিতাওয়ের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি নেইমার। বেঁচে যায় ভেনেজুয়েলা।
৩৯তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ভেনেজুয়েলা। হোসে মার্তিনেসের ফ্রি কিক থেকে ফের্নান্দো আরিসতেগেইতার হেড সহজেই ফেরান গোলরক্ষক আলিসন। যোগ করা সময়ে সফরকারীদের আরেকটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। জেসুসের ক্রসে তার চেষ্টা থাকেনি লক্ষ্যে। ৬৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। দানিলোকে ইয়োহান কুমানা ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাজিল।
চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার পর এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন নেইমার।
৮৩তম মিনিটে দারুণ ড্রিবলিংয়ে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এই পিএসজি তারকা। কাছের পোস্ট দিয়ে শটও নেন, কিন্তু এক জনের পায়ে লেগে একটুর জন্য বাইরে দিয়ে যায় বল।
৮৯তম মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন নেইমার। তাকে ঠেকাতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক। বুক দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান বারবোসা। ব্রাজিলের শেষ তিন ম্যাচে এটি নেইমারের তৃতীয় ‘অ্যাসিস্ট।’
দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকার ম্যাচে এ নিয়ে টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত থাকল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই ১৯৭৫ সালে পেরুর বিপক্ষে শেষ হেরেছিল তারা।