সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় দলে বহিরাগতদের হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এ সময় বিএনপি থেকে আসা বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে হুঁশিয়ার করেন তিনি
রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যের এক পর্যায়ে দলে বহিরাগতদের নিয়ে কথা বলেন তিনি। বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ার করে বলেন আমি যদি সাংগঠনিক সম্পাদক থাকি কোন কমিটিতে ঢুকতে পারবেন না।
এস কামাল বলেন, আমি আজ কিছু কথা বলতে চাই। স্মরণ সভায় যদিও এগুলো বলা ঠিক না। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল নেত্রী গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত যারা লড়াই সংগ্রাম করেছেন তাদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসেন। যারা বিএনপি, খালেদা, তারেক আর জামায়াতের বিরুদ্ধে লড়াই করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৩৭ সিট লাভ করেছেন তাদের পেট্রোনাইজ করুন। নতুন লোক দরকার নাই।
যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য বিএনপি থেকে এসেছেন যদি কোন নেতার সাথে থাকেন আগামী সম্মেলনে সেই নেতা কমিটিতে থাকতে পারবে না। আমি যদি সাংগঠনিক সম্পাদক থাকি-তবে আমাকে যদি সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে উইথড্রো (বাদ) দিতে পারেন তবে কোন কথা নাই। জেলার কিংবা উপজেলার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক আমার হাতে নেই। কিন্তু বাকি পদগুলো আমি দেখবো।
এস এম কামাল আরও বলেন, আর একটি কথা বলতে চাই, বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান নাকি বলেন, আমাকে লিখে দিতে হবে। আপনি কবে যোগ দিছেন? প্রশ্ন করেন কামাল। ছাত্রদলের ভিপি ছিলেন। আওয়ামী লীগে এসেছেন। ভদ্রভাবে আওয়ামী লীগ করতে হবে। আপনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। কার লোক সেটা আমি জানি না। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের পদ থেকে বাদ যাবে। আওয়ামীলীগ করতে পারেন আপত্তি নাই। কিন্তু নিয়মনীতি মেনে করতে হবে।
বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার নাম না উল্লেখ করে কামাল বলেন, পৌরসভার মেয়র হইছেন, যুবলীগ থেকে বাদ দিছে-আমি যদি সাংগঠনিক সম্পাদক থাকি কোন কমিটিতে ঢুকতে পারবেন না।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এসময় কেন্দ্রীয় সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সদস্য ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।