দেশে চলমান লকডাউন সরকারের পুরোপুরি উদাসীনতা এবং লোকদেখানো একটা ব্যাপার বলে মন্তব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মানুষ যা খুশি তাই করছে, বিয়েও হচ্ছে। লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার নামে এসব আওয়ামী লীগের প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
মির্জা ফখরুল বলেন, খেয়াল করে দেখবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-যারা লকডাউন কার্যকর করার কথা তাদেরকেও দেখা যায় না। তারা দৃশ্যমান নয়। তাদের একজন কনস্টেবল মারা গেছে, সেটার ছবি দিয়ে সংবাদ হয়। আর এদিকে শত শত লোক মারা যাচ্ছে, তার কোনো খবর নেই। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশেষ একটি প্রাণি আছে, যারা পানি খায়, কিন্তু ঘোলা করে খায়। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি, সুনির্দিষ্টভাবে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা নেয়নি। এতদিন পরে এখন তারা লকডাউন দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কবেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। এত ভালো স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাকি আর হয় না।
এনআইডি নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এনআইডি প্রকল্পের বিষয়ে ইসি চিঠি দেওয়ার পরেও সরকার সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে দুই লাইনের একটা চিঠি দিয়ে। এটা অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও তারা (সরকার) একটা চক্রান্ত, একটা ষড়যন্ত্র করতে যাচ্ছে, যাতে তারা জনগণের পরিচয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ইসি থেকে এনআইডি প্রকল্প স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটা সত্যি কথা যে, পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যাপারটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতেই থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে যেহেতু পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ উল্টো। এখানে আওয়ামী লীগের সরকারে যারা আছে, তারা এটা পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করবে বলে সবাই বিশ্বাস করে।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত আঙ্কটাডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখানে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ১১ শতাংশ কমে গেছে। বিশ্বব্যাংকের লোকেরা বলছেন, এখানে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার কোনো পরিবেশ নেই। কেন নেই? দুঃশাসন, গভর্ন্যান্সের অভাব, দুর্নীতি এবং সব বিষয় নিয়ে এখানে যখন কিছু বিনিয়োগ করতে যায় তাকে কেঁদে কেঁদে সব ফেলে দিয়ে যেতে হয়। তারপর কনস্ট্রাকশন করতে গেলেও চাঁদা দিতেই হয়।