স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর জন্মদিন আজ। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গাজী ফজলুর রহমান ও মাতা গাজী সালেহা বেগমের কোল আলোকিত করে ৫ জুলাই তিনি পৃথিবীতে আসেন।
গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফজলুর রহমান স্বাধীনতার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। ছিলেন অবিভক্ত কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তার বড় ভাই গাজী জিল্লুর রহমান কোতোয়ালি থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেজো ভাই হাজী মো. স্বপন বর্তমানে ৪৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক ভাই মজিবুর রহমান সুমন সাবেক সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ছিলেন।
গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু তার রাজনৈতিক জীবনে বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (২০১২-চলমান) দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (২০০২-২০১২), সাংগঠনিক সম্পাদক (১৯৯৮-২০০২), সূত্রাপুর থানা সাবেক ৭৯ বর্তমান ৪৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক(১৯৯৬-১৯৯৮), শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি (১৯৯৪-১৯৯৭), ইষ্ট বেঙ্গল স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি (১৯৯৩-১৯৯৫) হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে যুবলীগ নেতা গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু রাজনৈতিক জীবনে অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগ শিকার করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাবেক ৭৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক থাকা অবস্থায় লালকুঠির ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেফতার হন। তারপর ২০০২ সালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিএনপি-জামায়াত সরকার বিরোধী হরতাল-মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার ও কারাবন্দি হন।
এরপর ২০০৪ সালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত শ্রদ্ধেয় আব্দুল জলিল ঘোষিত ৩০ এপ্রিলের ট্রাম কার্ড কেন্দ্রিক আন্দোলনের সময় নির্মমভাবে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৪ সালে বিএনপি’র দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার ও প্রহসনের মামলায় দীর্ঘ ২ বছর কারাবরণ করেন।
তৎকালীন বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে সংগঠিত সকল হামলা মামলা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এবং ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নির্মম পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন।
১/১১ সরকার বিরোধী আন্দোলন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা’র মুক্তি আন্দোলনের পুরান ঢাকায় নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহুমাত্রিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা’র গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুরান ঢাকার মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সুষ্ঠু ধারার ছাত্র রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে এবং জামায়াত-বিএনপিসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে সোচ্চার করার লক্ষ্যে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের লাইব্রেরীতে ছাত্রদল ও শিবিরের সম্মিলিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘ দিন দেশে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় ফিরে আসেন। এখনও একটি গুলি তিনি নিজের শরীরে বহন করে চলেছেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে পুরান ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় সর্বপ্রথম মিছিলে নেতৃত্বে দেন।
উল্লেখ্য, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে গরীব, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী হিসেবে ত্রাণ ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। স্বাস্থ্য সামগ্রী হিসেবে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুভমেন্ট (পিপিই) প্রদান।
এছাড়া পবিত্র রমযান মাস জুড়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেহরির রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। ঈদের আগে গরীব, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণ করেছে। শিশুদের পোশাক দিয়েছেন।