প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান করেন না বলে দাবি করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যেভাবে লালন করেন, ধারণ করেন, এটা অতীতে কেউ পারে নি। তাঁর অনুভূতিতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক। দেশের মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ব আছে বলেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন, ততদিন বাংলাদেশে একটি লোকও অনাহারে মারা যাবে না। একটি লোকও চিকিৎসাহীন অবস্থায় মারা যাবে না। করোনা মহামারিসহ নানাভাবে ভয়াবহ দুর্যোগ ও প্রতিকূল অবস্থা আমরা মোকাবিলা করছি। রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে, সরকার পাশে আছে, শেখ হাসিনা পাশে আছেন। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন বাংলাদেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তিনি যতদিন সুস্থ থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশে দল-মত, ধনী-দরিদ্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ প্রতিটি মানুষই নিরাপদ থাকবেন।”
এসময় সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং অপ্রয়োজনীয় বাইরে যাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
“পিরোজপুরে অক্সিজেন সংকট যাতে দেখা না দেয় সেজন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন রিজার্ভের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে পিরোজপুরের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিভিন্নভাবে উন্নত করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি পিরোজপুরের মানুষকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হবে না।”- যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।
পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল চন্দ্র মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পিরোজপুর সদর উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মোট ৬৭৫ জন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক, অটোচালক, নরসুন্দর, সুইপার, ধোপা, হোটেল শ্রমিক এবং দোকান কর্মচারিদের মাঝে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।