কথা সাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীকে মাঞ্জার গুনীজন সম্মাননা প্রদান

বুলবুল চৌধুরী একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক ও লেখক। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

কথা সাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-ছোট গল্পগ্রন্থ,টুকা কাহিনি,পরমানুষ,মাছের রাত,চৈতার বউ গো।

এছাড়া উপন্যাস- অপরূপ বিল ঝিল নদী,কহকামিনী,তিয়াসের লেখন,অচিনে আঁচড়ি,মরম বাখানি,এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে,ইতু বৌদির ঘর,দখিনা বাও। আত্মজীবনী-আঁকিবুঁকি,অতলের কথকথা। এছাড়াও ‘গাঁওগেরামের গল্পগাথা’,‘নেজাম ডাকাতের পালা’,‘ভালো ভূত আর

প্রাচীনগীতিকার গল্প’নামক কিশোর গ্রন্থের রচয়িতাও তিনি। সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক, সমকাল সাহিত্য সহ বিভিন্ন পুরস্কার
ও সম্মাননা পেয়েছেন।

আত্মজৈবনিক উপন্যাস ‘অতলের কথকতা’র কথাকার বুলবুল চৌধুরীর সময় এখন থেমে আছে বিছানায়। লড়ছেন ক্যান্সারের সঙ্গে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি সুস্থ্য হয়ে আরো লিখতে চান। আমরা মাঞ্জা সংগঠন চাই এই বাংলার সম্পদ কে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকারি ভাবে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হোক। যেনো উনি সুস্থ্য হয়ে আমাদের আরো লেখা উপহার দিতে পারেন।

আজ পুরান ঢাকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন মাঞ্জা এই গুণীজন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। বুলবুল চৌধুরী পুরান ঢাকার শিংটোলার স্থানীয় বাসিন্দা ।

মাঞ্জা সংগঠনের সদস্য সাগর রশিদ বলেন আমরা ছোট বেলা থেকে উনার বই পরে আমরা বড়ো হয়েছি । আমাদের সংগঠনের জন্ম এই এলাকায় তাদের মতো সন্মানিত ব্যাক্তিদের কাছে অনেক কিছু দেখে শিখেছি তাই আজ আমরা মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়াতে পারি। বলতে গেলে উনারাই আমাদের গল্পের নায়ক।ক্যান্সারের সাথে বসবাস করা এই কথাসাহিত্যিক বিছানায় শুয়ে আমাদের বললেন তোমাদের ভালো কাজের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো তোমাদের জন্য।

উল্লেখ্য যে , তিনি করোনা কালীন ২০২০-২০২১ সালে কোভিড ১৯ ও বন্যা কালীন সময়ে অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আমাদের সংগঠনকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন এবং তিনি সার্বিক উন্নতির ও সাফল্য কামনা করেন ।