জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও দিনাজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রহিমের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি নব্বই বছর বয়সে ২০১৬ সালে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাবা।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনাজপুরে স্থানীয়ভাবে নানা কর্মসূচি পালন হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি, কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিবনগর সরকারের পশ্চিমাঞ্চল-১ এর চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’প্রাপ্ত (মরণোত্তর) এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সমাজসেবক ছিলেন। তার চার মেয়ের মধ্যে দুজন চিকিৎসক। ১৯২৭ সালের ২১ নভেম্বর দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে তার জš§। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পরের বছর দিনাজপুর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। রাজশাহী কলেজের শহিদ মিনার নির্মাণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্রখ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নেন এম আব্দুর রহিম। ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাকে ২০১৮ সালে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।