প্রখ্যাত কথা মালার জাদুকর হাসান আজিজুল হককে রাজশাহীতে নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধাসংবলিত অ্যাম্বুলেন্সে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হন।
হাসান আজিজুল হকের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান জানান, ‘চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা বাবাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও এই মুহূর্তে গুরুতর কোনো সমস্যা নেই। দীর্ঘ সময় তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর পরীক্ষা করতে হবে। বাসায় রেখেই আমরা সেসব পরীক্ষার ব্যবস্থা করব।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসান আজিজুল হকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হার্টে সমস্যা ও ডায়াবেটিস রয়েছে।’
২১ আগস্ট আজিজুল হককে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ২২ আগস্ট বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, হাসান আজিজুল হকের চিকিৎসায় প্রফেসর আতিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
২১ আগস্ট সকালে রাজশাহী থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা তেমন গুরুতর না হওয়ায় ও শারীরিক অন্য জটিলতা থাকায় তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বাথরুমে পড়ে আহত হওয়ার পর প্রায় এক মাস ধরে শয্যাশায়ী হাসান আজিজুল হক। তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে এতদিন বাসায়ই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চৌদ্দপায় আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৪ সালে অবসরে যান।