ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং সুমি আক্তারের (তাম্মির মা) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর আবেদনটি করেন এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী রাকিব হাসান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে রাকিবের পক্ষে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী ইশরাত জাহান। আদালত নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এতে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। স্বামী থাকা অবস্থায় অবৈধ বৈবাহিক সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তারা ৪৬৮/৪৭১/৪৯৪/৪৯৭/৫০০/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে মামলা করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, তা রাকিবের নজরে আসে। পরে মিডিয়ায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
মামলায় আরও বলা হয়, তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ডে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।